দলীয় প্রতীকে ‘অভ্যস্ততা’র অভাবে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়া এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অনেকে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হচ্ছেন বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।
দলটির নেতারা বলছেন, দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ব্যবস্থা চালু হয়েছে মাত্র পাঁচ বছর হলো। অনেকেই এ পদ্ধতি এখনও বুঝে উঠতে পারেননি। যুগ যুগ ধরে স্থানীয় নির্বাচনে ইস্যুভিত্তিক ভোটের হিসাবনিকাশ চলে আসছে। দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়টি অনেক ইউনিয়নের জনমনে পরিপূর্ণভাবে বিকাশ ঘটেনি।
সর্বশেষ তৃতীয় ধাপের ১০০৮টি ইউপি নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে বিজয়ী হয়েছেন ৫২৫ প্রার্থী। স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ৪৪৬ প্রার্থী। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে ১৭ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে একজন, ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে একজন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে একজন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।