বগুড়া শহরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজের অবস্থান জানান দিতে তিন জনকে হত্যা করে হেলাল হোসেন ওরফে সেলিম ফকির ওরফে বাউল সেলিম ওরফে খুনি হেলাল (৪৫)। ওই হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলা থেকে নিজেকে আড়াল করতে গত ২০ বছর ধরে বাউল ছদ্মবেশে ঘুরছে সে। হত্যাকাণ্ডের পর ভৈরব স্টেশনে গান গেয়ে নতুন করে জীবন শুরু করে এবং দ্বিতীয় বিয়ে করে। মূলত হত্যাকাণ্ডের সাজা থেকে বাঁচতেই তার এসব কৌশল।
প্রায় ৫ বছর আগে কিশোর পলাশ ওরফে গামছা পলাশ একটি গানের শুটিং করছিলেন নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনে। শুটিং চলার সময় রেললাইনের পাশ দিয়ে একজন বাউল যাচ্ছিল। তখন শুটিংয়ের পরিচালক তাকে গানের মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। হেলাল মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করে। ভাঙা তরী ছেড়া পাল শিরোনামে গানের মডেল হিসেবে পরে তাকে দেখা যায়। ইউটিউবে গানটির ভিডিওচিত্র ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বিপুল সংখ্যক দর্শক এই গানটি ইউটিউবে দেখেন। ৪৬ মিলিয়ন ভিউ হয় গানটির।
এই গানটি যখন প্রচার হয় এবং বগুড়ার বিভিন্ন লোকজন দেখে। পরে এলাকাবাসী আমাদের জানা, সে বগুড়ায় বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছয় মাসের চেষ্টায় আমরা তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন বলে জানান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।