সেবা প্রত্যাশী একজন বলেন, সিস্টেমটি এক সপ্তাহের বেশি কোনো আবেদনকারীর ডেটা সংরক্ষণ করে না, ফলে প্রতি সপ্তাহেই তাকে পাসপোর্ট ফর্ম পূরণ করতে হয়েছে। তার মতে, “এই অভিজ্ঞতা ছিল প্রচণ্ড বিরক্তিকর।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারুমপুর সাইফুল্লাহ কান্দি এলাকার বাসিন্দা ৭৪ বছরের সুফিয়া বেগম। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি) হেডকোয়ার্টার্সের চারতলা থেকে ছেলে ও নাতনির সাহায্যে নামতে দেখা যায় এ অশীতিপর বৃদ্ধাকে।
মুখে স্পষ্ট ক্লান্তির ছাপ, সাফিয়ার চোখে আশাহীনের দৃষ্টি। তার এক ছেলে হাবিবুর রহমান থাকে ইতালিতে। ছেলের পাসপোর্ট নবায়ন ও জন্মতারিখ পরিবর্তনের আশায় গত এক বছর ধরে কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এ বৃদ্ধা।
২৩ বছর বয়সী হাবিবুর থাকেন ইতালির রোমে। ২০২০ সালের ৫ অক্টোবরে হাবিবুর ইতালির রোম থেকেই নবায়নের আবেদন করেন। তাকে ওই বছরের ৯ নভেম্বর তা সংগ্রহের তারিখ দেওয়া হয়। তবে মহামারির চলাকালেই পেরিয়ে যায় সে তারিখ, তারপর থেকেই ঝুলে আছে হাবিবুরের পাসপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি।
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সুফিয়া বলেন, "জন্মতারিখ পরিবর্তনের আবেদন করায় আমার ছেলে এখন পাসপোর্ট পাবে না বলে তারা জানিয়েছেন। কারো কোনো গরজও নেই। তাই প্রতিদিন আমরা এখানে আসছি।"