জলবায়ু তহবিলের অর্থায়নে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু বন হয়ে ওঠার আগেই এলাকাটি বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটিকে (বেজা) হস্তান্তর করে বন বিভাগ। পটুয়াখালী ও নোয়াখালীর প্রায় তিন হাজার ৮০০ হেক্টর বন উজাড় হয়েছে তাতে। অথচ ওই বন সৃজনে ব্যয় হয়েছিল প্রায় চার কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে গবেষণা ও মাস্টারপ্ল্যান করা জরুরি ছিল।
বন বিভাগ জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের মিরসরাই রেঞ্জের বামনসুন্দর বিটে লাগানো ১৬৫ হেক্টর ম্যানগ্রোভ, ৩ হেক্টর মাউন্ড, ৩০০ হেক্টর গোলপাতা, ১০ হেক্টর এনরিচমেন্ট এবং ডোমখালী বিটে ৮০০ হেক্টর স্ট্রিপ বন লাগানো হয়। কিন্তু ‘মিরসরাই অর্থনৈতিক জোন’ স্থাপনের জন্য বেজা কর্তৃপক্ষ এসব গাছ কেটে ফেলে। একইভাবে গোরখঘাট রেঞ্জের সোনাদিয়া বিটে ৩৫ হেক্টর ম্যানগ্রোভ ও ৮৮ হেক্টর ঝাউ বন লাগানো হয়। পরে প্রকল্প এলাকাটি বেজা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে সরকারের এক কোটি ৪৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয় হয়।