আলু সংরক্ষণের জন্য চাষিদের বসতবাড়ির উঁচু, খোলা ও আংশিক ছায়াযুক্ত স্থানে বাঁশ, কাঠ, টিন, ইটের গাঁথুনি ও আরসিসি পিলারে মডেল ঘর নির্মাণের চিন্তা করছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এজন্য ‘আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে তারা। অবশ্য কয়েক বছর আগে এ নিয়ে একটি পাইলট কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছিল। তারপরই বিস্তৃত পরিসরে এমন মডেল ঘর নির্মাণ করতে চাইছে অধিদপ্তর।
কিন্তু যে প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানে আলু সংরক্ষণে ঘর বানানোর ফলে চাষিরা কতটুকু উপকৃত হবে, স্থানীয় বাজারে তার কী প্রভাব পড়বে, আলুর মূল্যের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, এ ধরনের কোনো গবেষণালব্ধ নেই। বাঁশের ঘর কতদিন টিকবে, এর অর্থনৈতিক লাভ কী হবে, এ বিষয়েও কোনো সমীক্ষা হয়নি। এমনকি টিনের ঘরে সংরক্ষণ করলে অতিরিক্ত গরমে আলু নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে যে শঙ্কা থেকে যায়, সে বিষয়েও কিছু বলা নেই। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, কৃষকের জমিতে আলু সংরক্ষণের জন্য ঘর তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে চাষিদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ দূর করার কোনো কথা নেই।