জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডের বাইরের করিডরের বেঞ্চে গুটিসুটি মেরে শুয়ে কাশছিল এক কিশোরী (১৭)। রাজধানীর মিরপুরের ওই বাসিন্দার সাত মাস আগে ফুসফুসের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়। বেঞ্চের প্রান্তে বসে মা মেয়ের কঙ্কালসার দেহে হাত বুলিয়ে কিছুটা আরাম দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বাবা শয্যার জন্য ছোটাছুটি করছিলেন। প্রথম আলোকে ওই বাবা বললেন, দুই দিন ধরে অনেক চেষ্টার পরও শয্যার অভাবে মেয়েকে ভর্তি করতে পারেননি। তৃতীয় দিন (৬ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (এমডিআর-টিবি) ইউনিটে ভর্তি করতে পারলেও শয্যা পাচ্ছিলেন না। ওই বাবার সরল প্রশ্ন ছিল, শয্যা আর কয়টা বেশি থাকলে কী হতো?
রাজধানীর মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে নারী-পুরুষের হার সমান। কিন্তু নারীদের জন্য শয্যার বরাদ্দ কম থাকায় হাসপাতালটিতে ভর্তি হতে তাঁদের অনেক ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়। জানা গেছে, হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডের শয্যার ৭১ শতাংশ পুরুষ আর ২৫ শতাংশ নারীর জন্য বরাদ্দ। বাকিটা শিশুদের।