সূর্যের আলো তখনো ফোটেনি। শীতের এই সময়ে মাদারবাড়ি এলাকার পানির ট্যাংক রেলস্টেশনের পাশের বস্তির বাসিন্দা ঝর্ণা আক্তারের পরিবারের সবাই ছিলেন গভীর ঘুমে। আচমকা ‘আগুন, আগুন’ চিৎকারে জেগে ওঠেন তাঁরা। কোনোমতে ঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদে যেতে পারলেও আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে যায় পরিবারটির সর্বস্ব। এ ঘটনা ১১ ডিসেম্বরের।
পরদিন সকালে ধ্বংসস্তূপের ভেতর হাঁড়ি-পাতিলের ভগ্নাংশ খুঁজতে খুঁজতে এই মধ্যবয়সী নারী বিলাপ করছিলেন, ‘এক ঘণ্টার আগুনে আমার ১৫ বছরের সাজানো সংসার তছনছ হয়ে গেল রে।’ ঝর্ণার মতো কেউ না কেউ প্রতিদিন চট্টগ্রাম নগরীতে অগ্নিকাণ্ডে সব হারিয়ে পথে বসছেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আগুনের ঝুঁকি’—শীর্ষক গবেষণাতেও উঠে এসেছে এমন চিত্র।