প্রথমে আমাদের জানতে হবে প্যারেন্টিং অথবা বাবা মায়ের ভূমিকা বলতে কি বুঝায়। সাধারণত আমরা সব বয়সের মানুষ পিতা-মাতাকে প্যারেন্ট হিসেবে চিনি। কিন্তু প্যারেন্ট বলতে যা বোঝায় একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে যাদের ভূমিকা থাকে এবং যাদের উপর শিশু নির্ভর করে থাকে তাদের প্যারেন্ট বলা হয়ে থাকে। যেমন-পরিবারের বাবা-মা, পালক বাবা মা, বড় ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী নিকটাত্মীয় যাদের একটি শিশু নিরাপদ ও ভরসাযোগ্য আশ্রয়স্থল মনে করে থাকেন, তারাও একটি শিশুর জন্য বাবা মায়ের সমতুল্য হয়ে থাকেন এবং বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক গঠনে যাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে একটি শিশুর জন্য তাদেরকে প্যারেন্ট বলা যেতে পারে।
একজন স্বামী এবং স্ত্রী যখন তাদের জীবনে শিশুর আগমন নিয়ে চিন্তা করে থাকেন, তখন থেকেই বাবা মাকে পারেন্টিংরোল এর মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে তৈরি হতে হয়। তাই শুরু থেকেই স্বামী স্ত্রীকে আগে নিজেদের সম্পর্কের মধ্যে যদি কোন সমস্যা থাকে।
তা সঠিকভাবে সমাধান করে নেয়াটা জরুরী। আগে নিজেদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হবেন। আমাদের সমাজের একটি বহুলপ্রচলিত ভুল ধারণা বিদ্যমান আছে। আমরা মনে করে থাকি, একটি শিশুর জন্মের মধ্য দিয়ে বৈবাহিক সমস্যা গুলোর সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, নিজেদের মধ্যকার সমস্যাগুলোই পরবর্তীতে শিশুর মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে। মনে রাখতে হবে, শিশুর জন্ম নেয়া মানে নিজেদের সমস্যার সমাধান নয়। শিশুর জন্মানোর মধ্য দিয়ে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব শুরু হয় এবং সেই দায়িত্বের সাথে সম্পর্কিত কাজগুলো মধ্য দিয়ে নিজেকে পরিচয় করাতে হয়। প্যারেন্টিং রোলটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেক বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে ।