খানিকটা সচ্ছল জীবন পেতে তিন বছর আগে নিজের জমানো ও ঋণের সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়ে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে চায়না কমলা চাষ শুরু করেন গোলাম রসুল। এ বছর গাছ ভর্তি ফল আসে। আশায় বুক বাঁধেন তিনি। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। মুহূর্তেই আকাশ ভেঙে পড়ে মাথায়। বাজারে এ কমলার চাহিদাই নেই। একজনের সহযোগিতায় কিছু ফল বাজারে পাঠালেও অর্ধেকও বিক্রি হলো না। চায়না কমলা চাষ করতে গিয়ে ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গার এমন অনেকেরই স্বপ্ন ভেঙেছে।
কমলা বিক্রি না হওয়ার কারণ হিসেবে চাষিরা জানিয়েছেন, এ কমলার মধ্যে বীজ রয়েছে। এ ছাড়া গাছেই কমলার রস শুকিয়ে যায়। খেতেও সুস্বাদু নয়। খাওয়ার পর গলায় তেঁতো লেগে থাকে।