বাংলাদেশের জন্ম প্রক্রিয়াতেই ছিল বিদেশি-বিরোধিতা। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখন চীনের সঙ্গে মৈত্রী করতে গিয়ে পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সর্বাত্মকভাবে রুখে দেওয়ার চেষ্টায় সপ্তম নৌবহর পাঠানোর হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। সোভিয়েত-ভারত মৈত্রী চুক্তির আওতায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ‘সেস্তই ফ্লত’(ষষ্ঠ নৌবহর) পাঠানোর পাল্টা হুমকি দেওয়ায় সে যাত্রায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঠেকানো যায়নি।
তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের অ-কূটনৈতিকসুলভ ব্যবহার এবং নোংরা ভাষায় ইন্দিরা গান্ধীকে আক্রমণ স্নায়ুযুদ্ধকালীন রাজনীতির ইতিহাসে ন্যক্কারজনক উদাহরণ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে (তথ্যসূত্র: বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ: ব্রিটিশ দলিলপত্র, মাসুদা ভাট্টি, জ্যোৎস্না পাবলিশার্স, ঢাকা)।