খোকাবাবু ফিরে এসেছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন একরাশ ‘লজ্জা’। লজ্জা চিরকাল দুর্বলের ভূষণ। মুরাদ হাসান ততক্ষণ পর্যন্ত লজ্জা পাননি, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। অর্থাৎ ক্ষমতা যতক্ষণ ছিল ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের লাগামছাড়া কথাবার্তা নিয়ে তাঁকে লজ্জিত হতে হয়নি। তিনি বারবার বলছিলেন, ভুলটা তিনি কোথায় করেছেন, লজ্জাটা কেন পাবেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। যে যা-ই বলেছে সব তিনি বাউন্স করে দিয়েছেন, তাঁর পিচ্ছিল মনে সেসব লেগে পিছলে বেরিয়ে গেছে। যে-ই ক্ষমতা চলে গেল, অমনি লজ্জা যেন ফিরে এল। খোলা মুখে যা আসে তা-ই বলতেও লজ্জা পাননি, কিন্তু মন্ত্রিত্ব হারানোর পর তিনি মাথা-মুখ ঢেকে বিদেশে পলায়ন করলেন। তাঁর দল ও বন্ধুমহলের জন্য লজ্জার বোঁচকা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কেউ আর সেই বোঁচকা মাথায় নিতে রাজি ছিল না। কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার পর অনেকেই ভেবেছে, যাক লজ্জার বিদায় হলো। কিন্তু এখন আবার তিনি বিভিন্ন দেশের সীমান্তে ঠোক্কর খেয়ে ফিরে এসেছেন দেশে। এই যাওয়া-আসার সময় প্রকাশ্যে যেখানেই তাঁকে দেখা গেছে, সেখানেই লজ্জায় মুখ ঢেকে থেকেছেন। গতকালও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে এসে লুকিয়ে অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে বেরিয়েছেন।