বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার বাসিন্দা আছমা বেগম। স্বামী গত হয়েছেন প্রায় ১০ বছর। নেই কোনো সন্তানও। বাধ্য হয়ে থাকতে হয় ননদের আশ্রয়ে। ৬৫ বছর বয়সের টানতে হয় জীবিকার ঘানি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনমতে দিন গুজরান করেন। জগতের কঠিন বাস্তবতায় খাবি খাওয়া আছমা এই শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে দারুণ কষ্টে ছিলেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেয়ে আবেগে অশ্রু ঝরে আছমা বেগমের চোখে। আছমা বলেন, 'খ্যাতা নাই, বিছনা নাই, ঘর নাই। হামার কষ্টের শ্যাষ নাই। যে জার পচ্ছে, খুব কষ্ট করি থাকি। কম্বলটা দিয়া হামরা একনা আরামে নিন্দ পাইরব্যার পামো।’ আছমা বেগমের মতো অসহায় দাসিয়ারছড়ার চন্দ্রখানা গ্রামের বৃদ্ধা মর্জিনা। বলেন, ‘দুখ্যান ছেঁড়া খ্যাতা দিয়া জার যায় না। কম্বলটা পায়া হামার খুব উপকার হইল।’