বহু প্রত্যাশিত রায় হওয়ার পর আদালতের বারান্দায় আইনজীবীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে দুই আঙুল তুলে বিজয়ের ‘ভি’ দেখালেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ; কিন্তু চশমার ফাঁক দিয়ে তখনও তার চোখ দুটি ছলছল, কপাল আর নাকের দুপাশে কান্নাচাপা কষ্টের ভাঁজ।
একটু পরেই দণ্ডিত আসামিদের কারাগারে নিয়ে যেতে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে। আবরারের কাছেপিঠেই তাদের বয়স। যাবজ্জীবনের আসামি ইসতিয়াক আহমেদ মুন্নার ছোট্ট বোনটি দু হাত বাড়িয়ে কাঁদছিল বাইরে; ভাইকে সে এভাবে জেলে নিয়ে যেতে দিতে চায় না।
ভাই যে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, সেটা বোঝার বয়স বোনের হয়নি। মুন্নার মত আরও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত; আর ২০ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে রায়ে।