তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সরব ছিল অনেক দিন থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ার সেইসব বক্তব্যে তিনি যেমন নিজেকে ‘আমি কী হনুরে’ ভাব নিয়ে কথা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সোল এজেন্ট জাহির করতেন, তার কয়েকগুণ বেশি তাকে গালাগালি থাকতো প্রতিপক্ষের। এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত বিশেষণ- ‘মুরাদ টাকলা’। তার কারণে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রতিও বিরূপ মন্তব্য থাকতো। তার মিশন দেখে আমার মনে হতো যে করেই হোক তিনি আলোচনায় থাকতে চান। মনে হতো সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নিজের এবং প্রতিপক্ষ মৌলবাদী গোষ্ঠীর এই নোংরা যুদ্ধ তিনি উপভোগ করছেন। কারণ তিনি থামছিলেন না বরং তার উল্টা-পাল্টা, ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর সায় আছে বলে সাফাই গেয়ে আসছেন।
তবে এক ইউটিউবারের সঙ্গে তারেক জিয়ার কন্যাকে নিয়ে তার নারী বিদ্বেষী, কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ক্লিপ এবং ঢাকার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে নানা অশোভন কথাবার্তা ও হুমকিপূর্ণ ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় মনে হয়েছে মোহাম্মদ মুরাদ হাসান প্রতিমন্ত্রীর পদে থাকার যোগ্যতা রাখেন না। সে কারণে তার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে বাধ্য হয়েছি, যদিও তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না, দেখাও হয়নি। তার শ্রবণঅযোগ্য, অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, গণমাধ্যমেও আলোচনার বিষয় হয়েছে।