পায়ের তলায় নরম ঠেকল কী !/ আস্তে একটু চল্ না ঠাকুর-ঝি/ ওমা, এ যে ঝরা-বকুল। নয়?” গৌরী ঘোষের কণ্ঠে এই কবিতাপাঠ যতীন্দ্রমোহন বাগচীকে চেনার আগ্রহ তৈরি করেছিল। নিঃসঙ্গ অন্ধ গ্রাম্য বধূর বেদনা কোনও কবি এ ভাবে ব্যক্ত করতে পারেন, ভেবে আশ্চর্য হতে হয়। ‘অন্ধ-বধূ’ কবিতার উল্লেখ করে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী লিখেছিলেন, “দৃষ্টিহীনা নারীর বেদনা এমনভাবে আমাদের স্পর্শ করে যে, তার পরে যতীন্দ্রমোহনের ক্ষমতার সম্পর্কে কোনো সংশয় থাকে না, কবিতা তো আসলে একটা মাধ্যম, যে মাধ্যমের সাহায্যে কবি পৌঁছাতে চাইছেন তাঁর পাঠকের কাছে, কিন্তু এই ধরনের কবিতা যিনি লেখেন তিনি তো শুধু তাঁর পাঠকের কাছে পৌঁছান না, পাঠকের অনুভূতি সম্পূর্ণভাবে দখল করে নেন।”