শুরুতেই যতটা জোরালোভাবে সম্ভব এটাই বলব যে, একটি খেলা শেষ পর্যন্ত একটি খেলাই। প্রতিটি টুর্নামেন্টই এক একটি ব্যতিক্রমী প্রতিযোগিতার আসর। সেখানে সেরা দল-খেলোয়াড়ের জয় হবে এবং তাদের যোগ্যতা-দক্ষতার প্রতি আমাদের সবার সম্মান দেখানো উচিত।
খেলোয়াড়রা তাদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার মাধ্যমে সেরা হওয়ার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেন। এ প্রক্রিয়ায় আমরা কিছু বিস্ময়কর মানের ক্রীড়া আয়োজন দেখতে পাই।
তবে, জাতীয়তাবাদ ঢুকে পড়ায় খেলাধুলা হয়ে উঠেছে জাতির জন্য 'গর্ব' বয়ে আনার অবলম্বন। খেলোয়াড়রা নিজেরাই সেই জাতীয়তাবাদের অংশীজন। অর্থ-বিত্ত, খ্যাতির সঙ্গে দেশ-জাতির প্রশংসা উপভোগ করতে শুরু করেন তারা।
স্নায়ুযুদ্ধকালের দুই পরাশক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় এ ভাবনা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যায়। যা শুধু দু'দেশের খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, মতাদর্শগত প্রতিদ্বন্দ্বিতারও বিষয় হয়ে উঠেছিল।