শরীরের যত্ন নিতে দৈনন্দিন জীবনে আমরা নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করি। সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করি। অসুস্থ বোধ করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিই, ওষুধ সেবন করি। শরীর ফিট রাখতে ব্যায়ামাগারে যাই। শরীরচর্চা করি। সকাল-বিকেল পার্কে হাঁটি। এগুলো সবই শরীরের যত্ন নেওয়ার অংশ। সুস্থ থাকার কৌশল। মনেরও যত্ন প্রয়োজন। শরীরের যত্ন নিয়ে আমরা যতটা আগ্রহী, সচেতন ও উদ্বিগ্ন থাকি, মন নিয়ে ততটাই উদাসীন আমরা। এটি ব্যক্তিবিশেষের কথা নয় বরং জাতি হিসেবে আমাদের এই উদাসীনতা নোটিশ করার বিষয়। মনের সুস্থতার জন্য কেউ মনস্তত্ত্ববিদের দপ্তরে গেলে তাঁকে আমরা নির্ঘাত পাগল বলে হাসাহাসি করি। এ ক্ষেত্রে আমরা মানতে চাই না যে, একজন সুস্থ মানুষেরও নিয়মিত কাউন্সেলিং প্রয়োজন হয়। শরীরের মতো মনকেও ফিট রাখতে হয়।