হয়তো আর কিছুদিনের অপেক্ষা। তারপর একদিন ষোলকলা পূর্ণ হবে। পাঠ্যবইয়ের স্থান হবে জাদুঘরে। মিশরের মমির পাশে শুয়ে থাকবে ‘গণিত মুকুল’ কিংবা ‘গণিত সহজ পাঠ’। মেধার মন্বন্তরে বেঁচে থাকব আমরা শিগিগরই। আমরা একদিন ভুলেই যাব কত শত বছরের প্রান্ত থেকে যে স্বর নিয়ে এসেছিল, যে আলোকের জন্মসংগীত গান গাইছিল, সেই লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগারকে। ঠিক যেমন করে আজ আমরা ভুলে গেছি ব্যঙ্গ, বিদ্রূপ, শ্লেষ ও হাস্য-কৌতুকে ভরা দেওয়াল-ছড়ার কথা।
উচ্চমাধ্যমিক এক পরীক্ষার্থীর বাবা ফিরছিলেন হাতে মস্ত বাজারের ব্যাগ নিয়ে। ছেলের জন্য মাছ-শাক-সবজি নয়, ব্যাগভর্তি নোটবই। অনলাইন ক্লাসে ছেলে খুব সুবিধা করতে পারেনি, তাই বাবা কিনে নিয়েছেন বাজারচলতি নানা নোটবই। কেবল ছাপানো নোটবইতে কুলোচ্ছে না। সাতসকালেই খুলে গেছে মোড়ের দোকানের জেরক্স সেন্টার। পাশে একজন চেয়ারে বসে টেবিলে রাবার স্ট্যাম্প মেরে দিচ্ছে নোটের পাতায় পাতায়—‘সিউর সাকসেস কোচিং সেন্টার’। খাঁটি নকল আরকি