সাহিত্যে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিষ্ঠানের আনুকূল্য কতটা জরুরি? এখানে বিষয়টা প্রশ্ন হিসেবেই উত্থাপিত, যদিও উত্তরও হয়তো সবারই জানা, আর তা প্রত্যেকের কাছে এক-এক রকম। বাংলা সাহিত্যের বেশি দূরের ইতিহাসে ঢুঁ মারার প্রয়োজন নেই। অত দূরে গেলে হয়তো সবই তালগোল পাকিয়ে যেতে পারে। শুধু মনে রাখা যাক, মধুসূদন থেকে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত প্রায় সবাই বিত্তে সম্পন্ন পরিবারের সন্তান, ফলে তাদের সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠায় তা সহায়ক কি না সে প্রশ্ন একেবারেই ভিন্ন প্রসঙ্গ, কিন্তু বই ছাপানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তাতে সেই সময়ে কার কী প্রতিষ্ঠা হয়েছে কী হয়নি, সেটিও আলোচ্য নয়। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নিজের বই নিজেই ছাপাতেন, আর তা বিক্রিও হতো দেদার, ফলে ইংরেজের চাকরি ছেড়েও মধুসূদনসহ অন্যদের সাহায্যের জন্য হাত বাড়াতে কোনো অসুবিধা হয়নি তার। কিন্তু এখানে যে প্রতিষ্ঠানের আনুকূল্যের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে, সে সবই বিদ্যাসাগরের ওই সব কর্মকান্ডের মোটামুটি একশ বছর পরের কথা।