ষোড়শ শতাব্দী থেকে আফগানিস্তানে চলেছে রাজতন্ত্র। ১৯২৬ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পরও তা বহাল থেকেছে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত। দীর্ঘকাল সামন্ততন্ত্র চালু থাকায় সেখানকার জনগণ অভিজাত ধনী ও কোনোমতে খেয়ে বেঁচে থাকা গরিব- এই দু'ভাগে বিভক্ত ছিল। রাজতন্ত্র চলাকালীন অভিজাতরা পুরোপুরি পশ্চিমা কায়দায় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। তারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ক্লাব, রেস্টুরেন্ট, সিনেমা ইত্যাদিতে নিমজ্জিত থাকে। অন্যদিকে গ্রামীণ গরিব কৃষকরা এই পশ্চিমা সভ্যতা থেকে অনেক অনেক দূরে প্রায় আদিমকালের মতো বসবাস করতে থাকে। একই দেশে দুই জগৎ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আফগানিস্তানের ওপর প্রভাব বাড়তে থাকে আমেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়নের। তখন এখানকার ধনী ও শিক্ষিত শ্রেণি রাজনৈতিকভাবে দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এক দল পশ্চিমা ধারার ভোগবাদী তথা ডানপন্থি রাজনীতি গ্রহণ করে, আরেক দল সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাবে কমিউনিস্ট রাজনীতিতে ঝুঁকে পড়ে। উভয় পক্ষেই ধীরে ধীরে রাজতন্ত্রবিরোধী মনোভাব বাড়তে থাকে। প্রজাতন্ত্রের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। তৈরি হয় ন্যাশনাল রেভল্যুশনারি পার্টি (ডানপন্থি) এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (কমিউনিস্ট)।