সত্তর-আশির দশকে সিনেমার স্বর্ণযুগে ‘প্লেব্যাক’ ইন্ড্রাস্ট্রিতে রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, আবিদা সুলতানা, শাম্মী আখতাররা যখন অমূল্য ধন তখন আশির প্রারম্ভে আবির্ভাব ঘটে সামিনা চৌধুরীর। ব্যতিক্রম এক সুরেলা কণ্ঠের অধিকারী। মেঘ, বৃষ্টি আর অভিমানে ভরা সুরভিত এক কণ্ঠনন্দিনী।
কণ্ঠে যেনো মণিমুুক্তো হীরে দিয়ে সাজানো। প্লেব্যাকের অনন্য নায়ক মাহমুদুন্নবীর রক্তের যোগ্য উত্তরাধিকার হয়ে আসেন। প্লেব্যাকে মাহমুদুন্নবী তখনও ভীষণ উজ্বল।
তখন সিনেমায় কবরী, শাবানা, ববিতা, সূচরিতাদের আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা। সিনেমায় তাঁদের লিপে রুনা, সাবিনা, আবিদারাই অনবদ্য। আনন্দ-বিরহ, প্রেম-রোমান্স, হাসি-কান্না সব গানেই তাদের জয়জয়কার। তাদের গাওয়া অনেক গানই সিনেমার চেয়েও জীবন্ত হয়ে সঙ্গীত শ্রোতাদের হ্নদয়কে নাড়া দিয়ে চলেছে। এমন ক্ষণে রুনা, সাবিনার মাঝে নিজেকে দ্রতই আলাদা করে আবির্ভূত হন তরুণী সামিনা চৌধুরী। ‘প্লেব্যাক’ আঙিনায় এসেই কণ্ঠের জাদু দিয়ে স্পর্শ করেন সিনেমা দর্শক আর সঙ্গীত পিপাসুদের মন।