১৫ আগস্টের শোকের ব্যাপ্তিটা এতটা বিশাল যে তা আমাদের যে শুধু এই একটা মাস জুড়েই আচ্ছন্ন করে রাখে না, পঁচাত্তরের পর ৪৬টি বছর পরে এসে এখনও আমরা আগস্টের এই তারিখটির কথা মনে করে শোকাবিষ্ট হই। আজও আমাদের আলোচনায় আর ভাবনায় অনেকখানি জুড়ে থাকে ‘কেন আগস্টের ১৫?’ বঙ্গবন্ধু যদি সেদিন ৩২-এ না থেকে, থাকতেন গণভবনের সুরক্ষিত পরিবেশে, কিংবা সেদিনের সেনাপ্রধান যদি বঙ্গবন্ধুর ফোনটা পেয়ে সে রাতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতেন, এমনি আরো অনেক ‘কি হলে কি হতে পারতো আর কেন হলো না’ ভাবনা আমাদের আচ্ছন্ন করে রাখে যখনই আমাদের আলোচনায় আসে বঙ্গবন্ধুর, বাংলাদেশ কিংবা আগস্ট। তেমনি বাংলাদেশের যারা প্রতিপক্ষ আর ১৫আগস্টের যারা কুশীলব আর বেনিফিসিয়ারি, তারাও এ মাসটিকেই সঙ্গত কারণেই বরাবরই বেছে নেয় বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশের গোড়ায় আরো একবার জোরে আঘাত করার জন্য।