দোষটা কার? রাজনীতিবিদ ব্যক্তিত্বহীন হলে আমলারা সীমাহীন দাপুটে হন। আর আমলারা সীমাহীন দাপুটে হলে সবকিছুতে অস্বস্তি তৈরি হয়। সেদিন এক সাবেক আমলা বন্ধু বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে আমাকে কিছু কথা লিখে পাঠালেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমলারা কি কখনো দুর্নীতিতে রাজনীতিবিদদের চেয়ে কম ছিলেন? আমলা বলতে নিম্ন থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে সরকারি প্রশাসনযন্ত্রের কথা বলছি। রাজনীতিবিদদের মধ্যে সত্যিকারের দুর্নীতিবাজের সংখ্যা সবচেয়ে কম। প্রশাসনযন্ত্র জনপ্রতিনিধিদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য জনস্বার্থে নেওয়া তাদের কিছু কর্মকান্ড এবং কিছু অনিচ্ছাকৃত অনিয়মকে ব্যাপকভাবে তুলে আনে। এ ক্ষেত্রে মিডিয়া সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে মুখরোচকভাবে এসব বিষয় প্রচার করে রাজনীতিবিদদের চরিত্রহননে প্রশাসনযন্ত্রকে সহায়তা করে। রাজধানীসহ সারা দেশে স্থাবর সম্পত্তির ওপর গবেষণা করলে বোঝা যাবে সমাজের কোন অংশের কত সম্পত্তি আছে আর কত থাকার কথা। রাজনীতিবিদদের পেশা ব্যবসা বা অন্য কিছু। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের আয়ের উৎস একমাত্র চাকরি। আর একটি কথা- একজন জনপ্রতিনিধির জীবন ফলো করলে দেখা যাবে কত জনকে সারা দিন বিভিন্নভাবে আর্থিক সাহায্য দিতে হয় তাকে, সরকারি বরাদ্দের বাইরে। এসব কোনো কিছু গবেষণায় আসে না।’ ঠিকই বলেছেন। ভিন্নমত পোষণ করি না। রাজনীতিবিদরাই নিজেদের খাল কেটে কুমির আনেন। আর সুযোগ নেন আমলারা।