হঠাৎ আগুন লাগলে তাৎক্ষণিকভাবে কর্মীদের সতর্ক করতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস কারখানায় কোনো ফায়ার অ্যালার্মের (অগ্নিসংকেত) ব্যবস্থা ছিল না। ছয়তলা বিশাল কারখানা ভবনের কোনো তলাতেই স্মোক ডিটেক্টর (ধোঁয়া শনাক্তের যন্ত্র) রাখা হয়নি। এমনকি কারখানা ভবন থেকে বেরিয়ে আসার জরুরি বহির্গমন পথও (সিঁড়ি) ছিল না।
কারখানার কয়েকজন ব্যবস্থাপক আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর কর্মীদের চতুর্থ তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই কক্ষে চকলেট তৈরির কাজ হতো। শুক্রবার দুপুরে সেই কক্ষ থেকেই ৪৯ জন শ্রমিকের পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যে ব্যবস্থাপকেরা ওই পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাঁরাও নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরাও মারা গেছেন।