২০ জুন রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্সের সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানিয়েছেন। ইজিবাইকের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ করা হবে, ক্রমান্বয়ে তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে। হঠাৎ করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত সারাদেশে ৫০ লক্ষাধিক পরিবারকে কী রকম দুশ্চিন্তা আর আতঙ্কের মধ্যে ফেলেছে, তা এসব হাড় জিরজিরে দরিদ্র মানুষের সঙ্গে যারা মেশেন না তারা কল্পনাও করতে পারবেন না। ঘোষণার পরপরই বেশ কিছু জায়গায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অনেক জায়গায় চালকরা ভয়ে রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক বের করছেন না। কারণ, যদি রাস্তা থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয় তাহলে উপাজর্নের এই শেষ সম্বল হারিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায়ই থাকবে না। বাস্তবতা হলো, বেশিরভাগ ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক মালিক এনজিও থেকে ৫০-৬০ হাজার টাকা লোন নিয়ে ব্যাটারি রিকশা ও প্রায় দেড় লাখ টাকা লোন করে ইজিবাইক কিনেছেন।