সরকারি গোপনীয়তা আইন বা অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ শিরোনাম হওয়ার কারণে আইনটির অর্থ, উদ্দেশ্য ও অন্তর্নিহিত বিধানাবলি বিষয়ে বিভ্রান্তি, অস্পষ্টতা, দুর্বোধ্যতা ইত্যাদি রয়েছে। আইনের ধারা ৩ (১)–এর উপ শিরোনামে ‘গুপ্তচরবৃত্তির দণ্ডসমূহ’ বলা হয়েছে।
আইনপ্রণেতারা নিজেরাই সম্ভবত: এ ক্ষেত্রে ‘সরকারি গোপনীয়তা’ এবং ‘গুপ্তচরবৃত্তি’কে গুলিয়ে ফেলেছেন। আইনটি রহিত করে ‘সরকারি গোপনীয়তা’ এবং ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ বিষয়ে পৃথক পৃথক আইন প্রণয়ন করা হলে অনভিপ্রেত এ জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবং আইনের এমন অবাঞ্ছনীয় ও অনভিপ্রেত অপপ্রয়োগের সুযোগ হ্রাস পেতে পারে।