হেফাজতে ইসলাম নিজেদের 'অরাজনৈতিক সংগঠন' দাবি করে থাকে; কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক চরিত্র স্পষ্ট। এই সংগঠনের সম্প্রতি বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের বড় অংশই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল পদে রয়েছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের হেফাজত নেতারাও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য। বলা বাহুল্য, সেসব দলের বেশিরভাগই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের বা প্রগতিশীল রাজনীতি ধারণ করে না।
সুযোগ পেলে হেফাজতে ইসলাম যে বর্তমান ক্ষমতাসীন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায় এবং বিরোধীদের জন্য পথ প্রশস্ত করে দিতে চায়, তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। ২০১৩ সালে তারা একবার এই চেষ্টা করেছিল এবং সর্বশেষ গত মার্চ মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান চলাকালে আরেকবার করেছে। কিন্তু তাতে করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে তাদের দহরম-মহরমেও কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।