১. যে কারণে আমি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াই, যে কারণে আমি পাকিস্তানের ক্রিশ্চান, শিয়া, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াই, যে কারণে আমি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে অত্যাচারিত ইহুদিদের পক্ষে থাকি, সেই একই কারণে আমি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াই, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকি। কারণটির নাম মানবতা। ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যারা জঙ্গি, না, আমি তাদের মোটেও সমর্থন করি না। আইসিস, আল কায়দা, তালিবান, বোকো হারাম ইত্যাদি প্রচুর জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রচণ্ড বিরোধী আমি। এমনকী যে কোনও ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীরও আমি বিরোধী। উগ্র জাতীয়তাবাদীদেরও আমি পছন্দ করি না। নাৎসিদের যতটা নিন্দে করি, ততটা নিন্দে ইসরায়েলের উগ্র জাতীয়াবাদীদেরও করি। ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে ক’টা হামাস নেতার মৃত্যু হয়েছে জানি না, তবে প্রচুর নিরপরাধ নারী-পুরুষ এবং শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ক’টা হামাস নেতার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে জানি না, তবে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, এমনকী আলজাজিরা, এসোসিয়েট প্রেসের মতো নামি মিডিয়ার বহুতল অফিসবিল্ডিংও ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ওই বিল্ডিং থেকে হামাস তার জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতো। এসোসিয়েট প্রেসের সাংবাদিক বলেছেন, ওই বিল্ডিংয়ে তাঁরা ১৫ বছর যাবৎ আছেন, ওখানে হামাসের অস্তিত্বের কোনও প্রমাণ তাঁরা পাননি। কিন্তু ইসরায়েল গুঁড়িয়ে দেবে মিডিয়ার বিল্ডিং, কার কী বলার আছে? না, কারও কিছু বলার নেই। রকেট হামলায় ১০ জন মরছে তো বোমাবর্ষণে কয়েকশ জন মরছে। মনে আছে ২০১৪ সালে ২২০০ জন গাজাবাসী ফিলিস্তিনি মরেছিল ইসরায়েলি বোমায়, বেশির ভাগই ছিল সাধারণ মানুষ। মৃত্যু হয়েছিল ৫৫০ জন শিশুর।