সাত বছর আগে ঢাকায় শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের এই বিশাল সমাবেশ অনেককেই বিস্মিত করেছিল কারণ মাদ্রাসা কিংবা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক ঘরানার বাইরে হেফাজতে ইসলামের এমন শক্তি সম্পর্কে তখনো বহু মানুষের মধ্যে কোন ধারণাই ছিল না।
উন্নয়ন কর্মী সানজিদা রিপা তাদেরই একজন। তিনি বলছেন, ''২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরে যা ঘটেছিল তার আগে হেফাজতে ইসলামে নামে ইসলামি সংগঠন আছে তা শুনিনি। অন্যান্য ইসলামি সংগঠন বা ধর্মভিত্তিক সংগঠন আছে বা কার্যকলাপ আছে দেখেছি কিন্তু হেফাজত ইসলামের নাম শুনিনি। এরপর থেকেই দেখলাম তারা রাজনৈতিক অঙ্গনে বা মাঠে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে।"
অথচ এই হেফাজতে ইসলামই গত প্রায় আট বছর ধরে নানা ঘটনায় আলোচিত। সংগঠনটির ঘোষণা করা তের দফা কর্মসূচিও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা সময়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
এসব দাবির মধ্যে ছিল ধর্ম অবমাননার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে আইন করা, নারীদের পোশাকে বিশেষ করে হিজাব উদ্বুদ্ধ করা, নারী নীতি ও শিক্ষা নীতির কথিত ইসলাম বিরোধী ধারাগুলো বাদ দেয়া, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলামি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, ভাস্কর্য বা মঙ্গল প্রদীপের মতো বিষয়গুলোর বিরোধিতা, নাটক সিনেমায় ধর্মীয় লেবাসের লোকজনের নেতিবাচক চরিত্র বন্ধ কিংবা কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবির মতো বিষয়গুলো।