মানুষের জীবনের মতো অর্থনীতিতেও আঘাত হেনে চলেছে করোনাভাইরাস মহামারী। এর আবশ্যিক প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারের পণ্য কেনাবেচায়। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য সরবরাহকারীরা মহামারীর সুযোগে নানা অনৈতিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে এ সময়। বুধবারেরদেশ রূপান্তরে প্রকাশিত একটি খবর এমন ঘটনারই পূর্বাভাস জানাচ্ছে।
প্রতিটি খাবারে একটি মান প্রোটিনের উপস্থিতি থাকে। এর কম প্রোটিন থাকলে খাদ্যপণ্যটিকে নিম্নমানের বলে চিহ্নিত করা হয়। মানুষের খাবারের খাদ্যমান ও পশুর খাবারের খাদ্যমান সহজাতভাবেই এক নয়। যে গমে সাড়ে ১২ শতাংশ প্রোটিন থাকে সেই গমই বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। এর কম প্রোটিনের উপস্থিতি থাকলে তা উন্নত দেশে পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অথচ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেল, সম্প্রতি দেশে সাড়ে ১০ শতাংশ প্রোটিনের উপস্থিতি সমৃদ্ধ গম আমদানির সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে করে দেশে মানুষের খাবারের অনুপযোগী গম আমদানীর পথ তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এর আগেও ২০১৫ সালে ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম আমদানি করার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। সেই ঘটনা তখন বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নতুন উচ্চমানের গম আমদানীর নীতিমালা করা হয়।