২০২০-২১-এর করোনা মহামারি বিশ্বকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ মারা গেছে এরই মধ্যে। বাংলাদেশও এ বিপদ থেকে মুক্ত নয়। জনজীবন, অর্থনীতি, সামাজিক ও পারিবারিক কাঠোমো মহামারির আঘাতে পর্যুদস্ত। সে কারণে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের বেশির ভাগ অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। শুধু চলতি বছরের ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত কয়েকটি অনুষ্ঠান রাখা হয়েছিল, যাতে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান মহামারির সংকট সত্ত্বেও সশরীরে উপস্থিত হয়েছিলেন। যাঁরা আসতে পারেননি, তাঁরা এই উদযাপনকে স্বাগত জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। সবাই বাংলাদেশের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন।
কিন্তু আতঙ্কের বিষয় যে এই সীমিত পরিসরের অনুষ্ঠানটিও বাধার সম্মুখীন হয়েছে। যাঁরাই দেশের পত্রিকা, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২৬শে মার্চ এবং পরের কয়েক দিনের তাণ্ডব দেখেছেন, তাঁরাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়েছেন। কারণ তাঁরা দেখেছেন মাদরাসার ছোট ছোট অবুঝ বাচ্চাকে পর্যন্ত কিভাবে ধর্মান্ধ বানানোর চেষ্টা চলেছে। সাধারণ মানুষকে কিভাবে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে! এসব দৃশ্য দেখার পর স্বভাবতই একটি প্রশ্নের জন্ম দেয়, কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠনটি কি এখন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করছে, নাকি বাংলাদেশে কোনো তালেবানি বিপ্লবের মহড়া দেওয়া হচ্ছে? এসব কি তারই লক্ষণ স্পষ্ট করে না?