করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনে চলাচল নিষেধাজ্ঞার কারণে দ্রুত বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। আর এই ঊর্ধ্বমূল্যে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষদের।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ও লকডাউন দেশের অর্থনীতির ওপর যেভাবে চাপ ফেলছে, তা যেন গত বছরের দুঃসময়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই সময় কিছু প্রতিষ্ঠান একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। অনেকগুলো আবার টিকে থাকতে কর্মী ছাঁটাই বা বেতন কমিয়ে দেওয়ার মতো ব্যবস্থাও গ্রহণ করে।
একটি প্যাকেজিং কোম্পানির হিসাবরক্ষক কফিলউদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত বছরের লকডাউনে আমার বেতন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কেটে রাখা হয়েছিল। যখন আমাদের কোম্পানি একটু ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করল, ঠিক তখনই আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। আমি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের অবশ্যই কিছু করতে হবে। আমাদের দুই দিক থেকেই চাপে পড়তে হচ্ছে। এভাবে আমরা টিকে থাকতে পারব না।’