সংগীতশিল্পী মিতা হক নেই- এ খবরটি শোনার পর স্তব্ধ হয়ে গেছি। বিষাদে মনটা ছেয়ে আছে। যার সঙ্গে গানের জগতে কাটিয়েছি বহু বছর, সে মানুষটি আমাদের মাঝে নেই- ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। করোনায় একে একে সংস্কৃতি অঙ্গন থেকে আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অনেকে। এ তালিকায় যোগ হলো শুদ্ধ সংগীতচর্চার অন্যতম পুরোধা মিতার নাম। এটি খুবই বেদনাদায়ক। করোনায় অনেকে চলে গেছেন, কিন্তু মিতার এই বয়সে চলে যাওয়ার খবর মেনে নেওয়া কঠিন।
মিতাকে চিনি বহু বছর ধরে। অনেক দিন দেশের বাইরে ছিলাম আমি। ১৯৯১ সালে ফিরেছি। এর পর মিতার সঙ্গে শাহজাদপুর কুঠিবাড়িসহ বহু জায়গায় গিয়েছি। সেসব আজ শুধুই স্মৃতি! আমি তার গান প্রথম শুনেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি)। সেখানে তার গাওয়া 'আজ শ্রাবণের পূর্ণিমাতে' গানটি এখনও কানে বাজে। এরপর তিনি ব্যস্ত হয়ে গেলেন। বয়সে ছোট হলেও এক সময় আমাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হলো। একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। তার সঙ্গে গান নিয়ে পরামর্শ করতাম। সমৃদ্ধ হয়েছি অনেক। আমি যেন প্রতিটি অনুষ্ঠানে গান করতে পারি, মিতা তা মনেপ্রাণে চাইতেন।