জিন্দাবাজারে চোখ মেয়র আরিফের

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর চোখ এখন জিন্দবাজারে। নগরীর এই প্রাণকেন্দ্রকে সাজাতে চাইছেন তিনি। অবশ্য আগেই জিন্দাবাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করেছেন। ভূগর্ভে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তারের জঞ্জাল। এখন বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ কাজ চলছে। আর অল্পদিনের ভেতরে তিনি সেই কাজ শেষ করে জিন্দবাজারের দৃশ্যপট পাল্টে দিতে কাজ চালাচ্ছেন। দেশের মধ্যে ‘মডেল’ সিলেট। এই মডেল হওয়ার কারণ হচ্ছে- দেশে প্রথম সিলেটে মাটির নিচ দিয়ে নেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট, ডিসসহ সব তারের জঞ্জাল। প্রথম সেটি শুরু করেছিলেন তিনি ওলিকুল শিরোমনি হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহের প্রধান সড়ক দিয়ে। সেটি সফল হওয়ার পর হাত দেন কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা সড়কে। সেই সড়ক এখন পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে। উপরের সব তারের জঞ্জাল নেয়া হয়েছে ভূগর্ভে। চার লেনের ওই সড়ক সিলেটের দর্শনার্থীদের কাছে অন্যরকম সড়ক। শহীদ মিনারের সামনের এলাকা সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সাজে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রিকশাসহ ঠেলাগাড়ি চলাচল। রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে হকারদের। ফলে উন্নত দেশের সড়কের আদলে পরিণত হয়েছে জিন্দাবাজার সড়ক। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা কিছুটা ক্ষুব্ধ। রিকশা না চলায় ক্রেতারা আসছে না জিন্দাবাজারে- এমন অভিযোগ তাদের। কিন্তু এতে কর্ণপাত করছেন না মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। জিন্দাবাজারকে যানজটমুক্ত রাখতে তার এই উদ্যোগের পাশে রয়েছে সিলেটের সুধীজনেরা। মূল সড়কের কাজ শেষ হওয়ার আগেই সিলেটের পূর্ব জিন্দাবাজারে চোখ দেন মেয়র। ওই সড়কের ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে ইতিমধ্যে স্বাভাবিক করা হয়েছে। মাটির নিচে চলে গেছে উপরের তারের সব জঞ্জাল। ছিল কেবল বিদ্যুতের তার। ৪টি এলাকার ট্রান্সফরমার সরানো নিয়ে মেয়র ছিলেন বেকায়দায়। মন্দির এলাকায় জায়গা খুঁজেও পাননি। অবশেষে তিনি নেহার মার্কেটের সামনের ট্রান্সফরমার সরিয়ে মার্কেটের দেওয়াল ঘেষে নিয়ে গেছেন। আরবি কমপ্লেক্সের দেয়াল ঘেষে আনা হয়েছে ট্রান্সফরমার। শহিরপ্লাজার ট্রান্সফরমারও সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। গত বুধবার থেকে নতুন করে ওই এলাকায় কাজ শুরু করেছেন মেয়র। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল। নেহার মার্কেট এলাকার স্বর্ণের দোকানের গা ঘেষে নেয়া হয়েছে ট্রান্সফরমার। ভেঙে ফেলা হয়েছে সিড়ি ও উপরের চার তলা পর্যন্ত কিছু এলাকা। পাশাপাশি সহির প্লাজারও একাংশ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন- মেয়র আরিফুল হক জিন্দাবাজারকে সাজাতে কাজ করছেন সত্যি। কিন্তু ট্রান্সফরমারগুলো যেভাবে দেয়া হচ্ছে তাতে ঝুঁকি রয়েই গেছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান তারা। তবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, সিলেটের রাস্তা বড় ছাড়া শৃঙ্খলা ফেরাতে এই কাজগুলো করা হচ্ছে। এতে বিশেষ্ণদের মতামত নেয়া হয়েছে। কাজ শেষ হলে পূর্ব জিন্দাবাজার নতুনভাবে সেজে উঠবে বলে জানান তিনি। এদিকে, সিলেটে এই সড়কের পর পশ্চিম জিন্দাবাজারকেও একইভাবে সাজানোর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি নগরীর চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানা সড়কেরও কাজ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে ওই সড়কের রাস্তার দু’পাশের ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক করা হয়েছে। পরিবহন শ্রমিকদের সরিয়ে ফুটপাথে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। মাঝখানে আইল্যান্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এই কাজ শেষ হলে নগরীর দরগাহের প্রধান গলির মুখের যানজট দূর হবে। পাশাপাশি ওই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তারা জানান, কোর্ট পয়েন্ট থেকে আম্বরখানা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে মডেল সড়ক। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us