কেউ কেউ এর মধ্যে প্রচুর অর্থ লেনদেনের গন্ধ পাচ্ছেন। শাপলা চত্বরের পর একবার, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পর আরেকবার এবং এবার হেফাজতিদের ভাগ্যের দুয়ার খুলে গেছে বলে অনেকে বলছেন। কিন্তু তাতে দেশ কি বাঁচবে, আওয়ামী লীগও বাঁচবে কি? দুই শ বছর আগের একটা গল্প বলি- তখন বর্গিদের অত্যাচারে সুবে বাংলা জর্জরিত। বর্গিরা হঠাৎ একেক সময় বাংলার এখানে ওখানে হামলা চালায়। তারপর হাজার হাজার মণ ধান-চাল, সোনাদানা এবং অন্যান্য লুণ্ঠিত সম্পত্তি নিয়ে চলে যায়। সঙ্গে লুট করে নিয়ে যায় গৃহবধূ ও গৃহকন্যাদের।
তখন বর্গিদের নেতা ছিলেন ভাস্কর পণ্ডিত। যেমন ধূর্ত, তেমনি নিষ্ঠুর। তার অত্যাচার থেকে দেশকে বাঁচাতে নবাব সরফরাজ খাঁ বর্গিদের সঙ্গে একটা আপস করলেন। এখন থেকে বর্গিরা আর সুবে বাংলায় হামলা চালাবে না। তাদের জন্য নবাব সরফরাজ খাঁ কয়েক হাজার মণ ধান-চাল, সোনা-রুপা এবং একদল সুন্দরী নারী রেখে দেবেন। বর্গিরা বছরে একবার সুবে বাংলায় আসবে এবং নজরানা নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু বর্গিরা তাদের কথা রাখত না। নবাবের নজরানা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় লুটপাটের কাজটাও চালাত।