কিছু দিন আগে বিসিবি সভাপতি এমন একটা অভিযোগ করেছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা নাকি টেস্টে ‘ওয়ানডে’ খেলেন, আর ওয়ানডেতে ‘টেস্ট’। তাঁর কথাটা হয়তো ছিল কথার কথা। কিংবা ক্রিকেট দলের নানা ব্যর্থতায় অভিমান করেই বলেছিলেন এটি। কিন্তু আজ ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ দল যেন বিসিবি সভাপতির কথাটা বাস্তবে রূপ দিতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে কোথায় ধবল ধোলাই এড়ানোর লড়াই করবেন তাঁরা, মাঠে টেস্ট না ওয়ানডে কী খেলতে নেমেছেন, সেটিই যেন ভুলে গেলেন। রীতিমতো ‘টেস্ট’ খেলে কিউইদের ৩১৯ রানের জবাবে ১৫৪ রান করে হারের মুখ দেখলেন তারা।
স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর দিন কোথায় বাড়তি উদ্দীপনায় উদ্ভাসিত হবেন তাঁরা, তা নয়, উল্টো নির্বিষ আর প্রেরণাহীন ক্রিকেট খেললেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকাররা, হারলেন ১৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।
তিন ম্যাচে তামিম ৯২, সৌম্য ৩৩ ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, কুড়ি ওভারের তিন ম্যাচ খেলবেন না তিনি। ফলে যা করার ওয়ানডে সিরিজেই করতে হতো বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ছন্দে থাকার আভাসই দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষটা হলো না ভালো।
রুবেল-তাসকিনের দারুণ বোলিং শুরু থেকেই ভোগাচ্ছে ফিল্ডিং। হাতছাড়া হয়েছে দুটি ক্যাচ। কাজে লাগানো যায়নি রান আউটের দুটি সুযোগ। তবুও রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদের দারুণ বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে শুরুটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের।
নিউজিল্যান্ডে ব্যতিক্রমী মিথুন নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বার বার ব্যর্থতাই বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে এর মাঝেও ব্যতিক্রমী মোহাম্মদ মিথুন। নিউজিল্যান্ডের সাথে সর্বশেষ খেলা চার ম্যাচের তিনটিতেই ফিফটি রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিথুন করেছিলেন ৬২ রান। দ্বিতীয় ওয়ানতেডে ৫৭ করেছিলেন। তবে শেষ ওয়ানডেটি খেলেননি তিনি।