দীর্ঘদিনের বদনাম ঝেড়ে কিছুদিন ভালোই সুনাম কুড়িয়েছিল দেশের শেয়ার বাজার। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে না ফিরতেই ফের দানা বাঁধতে শুরু করেছে হতাশা। গত বছরের শেষ ছয় মাস দাপুটে লেনদেনের শেয়ার বাজার হঠাৎ হারিয়েছে ছন্দ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) বাজার মূলধন একসময় ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু গত সাড়ে তিন মাস ধরে বাজার অনেকটাই গতিহীন। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার- পর পর দুই দিন ধস নামায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৬৫ পয়েন্ট কমে।
শেয়ারবাজারে লকডাউনের ‘গুজব’ থামাতে এবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাকালসহ যেকোনো সময় ব্যাংকের কার্যক্রম চালু থাকলে শেয়ারবাজারের লেনদেনও অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমের স্বাক্ষরে আজ সোমবার দুপুরে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার লেনদেনের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে ধস দেখা দিলেনও শেষ পর্যন্ত উল্লম্ফন ঘটেছে। দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে মাত্র ৫৬টির। আর ১০৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।