সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হককে কটাক্ষ (?) করে শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এ স্ট্যাটাস দেওয়ার পরদিন রাতে পুলিশ ঝুমনকে আটক করে। শুনেছি, ঝুমনের ফেসবুক স্ট্যাটাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে হিন্দুরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তারাও ঝুমনের শাস্তি দাবি করেন। অনেকে তাদের ওপর আক্রমণ ও হামলার আশঙ্কায় ওই রাতেই বাড়িঘর ছেড়ে পাশের গ্রাম ও হাওরে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান। অন্যদিকে, মামুনুল হকের অনুসারীরা রাতভর সংঘবদ্ধ হতে থাকে। তারা বুধবার সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলার ডাক দেয়। পরে নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮টি হিন্দু বাড়িতে ও কয়েকটি উপাসনালয়ে ভাঙচুর করা হয়।