যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সাড়ে তিন বছরের স্বল্পসময়ে তুলনামূলক এত পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সম্ভবপর করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি যখন যুদ্ধের ধকল কাটিয়ে তার ঈস্পিত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই ভেঙে যাওয়া দুই পাকিস্তানকে একত্রীকরণের দুরভিসন্ধি নিয়ে হত্যা করা হয় জাতির পিতাকে।
এই আঘাত শুধু জাতির পিতা বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে হানা হয়নি, এ আঘাত প্রকৃতপক্ষে ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে। জাতিসংঘের তদানীন্তন আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল ড. ভিক্টর এইচ উমব্রিখট মার্কিন সরকারের প্রতি খুনীদের আশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ১৭ নভেম্বর ১৯৭৫ এক পত্রে লেখেন: গত ১২ মাস ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিরাট উন্নতি ঘটেছিল।