'মেরেছে কলসির কানা, তাই বলে কী প্রেম দেব না?' ভোটের মুখে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা অবশ্য প্রেমই পাচ্ছেন প্রেমনগরে। উন্নয়নের কাজ না হলেও এখানকার মানুষ দলমত নির্বিশেষে ভোট প্রার্থীদের বসার জন্য নিজেদের উঠোনে পেতে দিচ্ছেন চাটাই।
জায়গাটা দূর নয়। নবান্ন-র কাছেই প্রেমনগর আদতে একটি আদিবাসী কলোনি। তবে তার খবর রাখেন না অধিকাংশ হাওড়াবাসী। ৭৪টি পরিবারের এই কলোনি এ বছর পঞ্চাশ বছরে পা রেখেছে। ১৯৭১ সালে জঙ্গলে ঘেরা ডুমুরজলার এই অংশকে বসবাসযোগ্য করে তুলেছিলেন ফরাসি ধর্মযাজক ফাদার ফ্রাঙ্কোয়িস লেবোর্দে। সেখানে রাঁচির প্রত্যন্ত গ্রামের প্রায় খেতে না পাওয়া কিছু পরিবারকে এনে তোলেন তিনি। হাওড়া শিল্পাঞ্চলে সে সময় শ্রমিকের কাজ পেয়ে বর্তে গিয়েছিল সেই আদিবাসীরা। সেই পরিবারগুলোই এখন সংখ্যায় বেড়ে ৭৪। যাদের সদস্য সংখ্যা পাঁচশোর কাছাকাছি। দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রে যার ভোটার সংখ্যা ৩৪৭ জন।