একজন কার্টুনিস্ট ফেইসবুক পেজে কার্টুন আঁকলেন। তার ক্যাপশন লিখলেন একজন লেখক। ফলে তাদের দুজনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসা তল্লাশির নামে তছনছ করা হয়েছে। ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। ৬৯ ঘণ্টা বা প্রায় তিন দিন অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে, যাকে আমরা গুম বলে থাকি (সূত্র : জামিনে মুক্ত কার্টুনিস্ট কিশোর : অজ্ঞাত স্থানে ৬৯ ঘণ্টা রেখে কার্টুন নিয়ে প্রশ্ন, মারধর, ০৫ মার্চ ২০২১, প্রথম আলো অনলাইন)। তারপর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এরপর রিমান্ড, নির্যাতন, জেলবাস, জামিন না দেওয়া ইত্যাদি। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটল তা হলো মতপ্রকাশের জন্য একজন লেখককে জেলে রেখে হত্যা করা হলো। কেউ কেউ এটাকে মৃত্যু বললেও মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান লেখক মোশতাকের মৃত্যুকে একটি ‘হত্যাকান্ড’ বলেই অভিহিত করেছেন। সে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আবার হামলা, মামলা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের শিকার হতে হয়েছে অনেককে। সর্বশেষ কার্টুনিস্ট কিশোরকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে সাংঘাতিক অসুস্থ অবস্থায়। কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মোশতাক আহমেদের এই পরিণতি নির্দেশ করে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মানদন্ড।