চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত গত ১০ মাসে ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় রাজধানীর ৫০টি থানায় মামলা হয়েছে ৫২৫টি। এর মধ্যে শিশু-কিশোরী ধর্ষণের মামলা প্রায় অর্ধেক।
সাত বছরের শিশুটিকে বাসায় রেখে তার মা–বাবা প্রতিদিন সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। বাবা প্লাস্টিকের কারখানায় আর মা একটি স্কুলে আয়ার কাজ করেন। রাজধানীর লালবাগ এলাকায় টিনের ছাউনির ছোট্ট ঘরে একাই সময় কাটে তার।
শিশুটির নানি তাদের বাসার কাছেই থাকেন। কাজের ফাঁকে তিনিও নাতনির খোঁজ নেন। গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে নানি এসে দেখতে পান বাসার দরজা বন্ধ। তিনি বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করার পর দরজা খুলে শিশুটির এক প্রতিবেশী বেরিয়ে যান। নানি ভেতরে ঢুকে দেখেন, শিশুটি ভয়ে জড়সড় হয়ে আছে, থেমে থেমে কাঁদছে। কী ঘটেছে তা বুঝতে সময় লাগেনি নানির। দ্রুত শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে (ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) নিয়ে যান স্বজনেরা। পরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে লালবাগ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ অবশ্য দ্রুতই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।