ব্রিকস ব্যাংক বা নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (এনডিবি) বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার আলোচনা উঠেছিল ২০১৪ সালে এটি গঠনের সময়ই। তখন চীনের উদ্যোগে প্রস্তাবিত এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকে (এআইআইবি) যোগদানকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল সরকার।
তখনকার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “ব্রিকস ব্যাংকের গতি খুবই স্লো (ধীর)। আমরা (সরকার) এটা নিয়ে এই মুহূর্তে খুব একটা ভাবছি না। যখন এটার গতি পাবে তখন আমরা ওটা নিয়ে ভাবব।”
তার ছয় বছর পর ব্রিকস ব্যাংকে যোগ দেওয়ার পক্ষে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার; যখন ব্যাংকটি তাদের মোট মূলধন জড়ো করেছে ১০০ বিলিয়ন ডলার, তাদের প্রাথমিক মূলধন ৫০ বিলিয়ন ডলার।
বর্তমান অবস্থায় ব্রিকস ব্যাংকে বাংলাদেশের যোগদানে সাড়া দেওয়াকে ইতিবাচক মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, বহুজাতিক এই ব্যাংক থেকে অবকাঠামো ঋণ পাওয়ার সুবিধাই হবে; যদিও ঋণের শর্তের দিক এবং ব্যাংকের পরিচালনার ক্ষেত্রে অন্য বহুজাতিক ব্যাংকের সঙ্গে এর তেমন পার্থক্য সেভাবে নেই।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা এই পাঁচ দেশের অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের উদ্যোগে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই যাত্রা শুরু করে নিউ ডেভলেপমেন্ট ব্যাংক-এনডিবি।
গত ১৭ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এনডিবির সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানান ব্রিকসের সদস্য রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছেন বলে সেদিনই জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
পরিসর বিস্তৃত করার জন্য ইতোমধ্যে সদস্য পদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে এনডিবি কর্তৃপক্ষ, চূড়ান্ত করা হয়েছে সদস্যপদ দেওয়ার নীতিমালাও।