বয়স ১০ ছুঁই ছুঁই। নাম সোহেল রানা। তবে সবাই সোহেল বলেই ডাকে। দুরন্ত ও চঞ্চলা ওই শিশু ঘুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে সে। ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়ে পাঁচ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী বাবার আয়ের যোগান দিতে। সোহেলের বাবা একজন কাঠ মিস্ত্রী। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কাজ করাই তার পেশা।
রোজগার হলেই জ্বলে ঘরের চুলা। তাই করোনায় দীর্ঘ কয়েক মাস স্কুল বন্ধ থাকায় প্রায়ই তাকে দেখা যায় বিভিন্ন ক্ষেত খামারে কিংবা সুপারি গাছের আগায়। সোহেল নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের ঘুনি এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তারা সবাই স্কুলে পড়ে।