জলবায়ুজনিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। ঝুঁকি কমাতে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না কোনোটির। জলবায়ু তহবিলের প্রকল্পগুলোতেও চলছে অর্থের তছরুপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অদক্ষতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নানা দিক ও এ খাতের অনিয়ম নিয়ে শাহেদ শফিকের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে সপ্তম পর্ব
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে কক্সবাজারে যে পরিমাণ গাছ কাটা হয়েছে সেই গাছগুলো প্রতি হেক্টর এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ পাউন্ড কার্বন শোষণ করতে পারতো। ফলে বর্তমানে ওই এলাকার প্রতি হেক্টর আকাশে সমপরিমাণ কার্বন জমাট হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। বনবিভাগ বলছে, বর্তমানে কক্সবাজারে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টন কার্বন জমাট হয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে জেলার পরিবেশ ও দেশের সামগ্রিক জলবায়ু।
জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ন্যাচারাল ফরেস্ট ইনভেনটরি ২০১৫-১৮-এর রিপোর্টে প্রতি হেক্টরে গড়ে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪ পাউন্ড কার্বন সংরক্ষণ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিন দিন এর মাত্রা আরও বাড়ছে। বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০৪ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টনে।