চেয়ারম্যান আতিক উল্যাহ হত্যা মামলায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

কেরানীগঞ্জের কোণ্ডা ইউপি’র চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্যাহ চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। এতে ৮ আসামির মধ্যে একজনকে বেকসুর খালাস দিয়ে বাকি সাত আসামিকে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের ছেলে কোণ্ডার বর্তমান চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান চৌধুরী ফারুক। তিনি বলেন, আমি রায়ে সন্তুষ্ট। তবে যত দ্রুত সম্ভব এর বাস্তবায়ন আশা করছি। এর আগে টানা তিনবার রায়ের তারিখ পেছানোর ফলে রায়ের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল আতিক উল্যা পরিবারের মাঝে। এতে ন্যায়বিচার বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন মরহুম আতিক উল্যাহ চৌধুরীর স্বজনরা। গতকালকের এ রায় পূর্ববর্তী সময়ে সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত উৎসুক মানুষ আদালতের সামনে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে রায়ের জন্য অপেক্ষায় ছিল। রায় পেয়ে খুশি এলাকাবাসী। অন্যদিকে রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন আসামিদের স্বজনরা। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার হোসেন, শিবু, আসিফ, তানু, টুণ্ডা আমিন, ইমন ও জাহাঙ্গীর। এ ছাড়া মামলার বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত আসামি হলো শম্পা। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১০ই ডিসেম্বর নিখোঁজের পরের দিন দোলেশ্বর ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এলাকা থেকে তার আগুনে পোড়া ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার সঙ্গে থাকা কাগজপত্র ও এটিএম কার্ড দেখে বাবার লাশ শনাক্ত করেন নিহতের ছেলে মুহম্মদ সাইদুর রহমান চৌধুরী ফারুক। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কোণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বাদী হয়ে  স্থানীয় মো. গুলজার হোসেন ওরফে গোলজার মেম্বার ও তার ভাগ্নে শাহীনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ গুলজার, শিবু, আসিফ, তানু, টুণ্ডা আমিনসহ অন্য সবাইকে আটক করলেও আসামি ইমন, জাহাঙ্গীর এবং শম্পা ছাড়া বাকি সবাই আটকের পর জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us