একসময় পেশাজীবী সংগঠনগুলো স্বকীয়তা নিয়ে চলত। যে রাজনীতির প্রতিই সমর্থন থাকুক না কেন, পেশাজীবীরা পেশাগত বিষয়টিই অগ্রাধিকার দিতেন। দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করতেন। কিন্তু এখন পেশাজীবী সংগঠনগুলো পেশাগত বিষয়ের চেয়ে দলীয় রাজনীতিকে মুখ্য ভাবে।
রাজনৈতিক কারণে অধিকাংশ পেশাজীবী সংগঠন ভাগ হয়ে গেছে। যেমন সাংবাদিক ইউনিয়ন। সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের পূর্বসূরিরা এই সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। এরশাদের শাসনামল পর্যন্ত সব সাংবাদিক এক সংগঠনের ব্যানারে কাজ করতেন। কিন্তু নব্বই-পরবর্তী ‘গণতান্ত্রিক আমলে’ তাঁরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শিবিরে ভাগ হয়ে গেলেন। একইভাবে শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসাবিদ, কৃষিবিদ ও প্রকৌশলীদের সংগঠনও হয় বিভক্ত হয়ে গেছে অথবা মূল সংগঠনের চেয়ে দলীয় ফোরাম অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে।