নিষেধাজ্ঞায় বাড়তে পারে পাঁচ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১০:৫৫
চাঁদপুরসহ সারা দেশে প্রজনন সময়ে মেঘনায় এবার ৫১ শতাংশের বেশি মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে। এতে ভবিষ্যতে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইলিশ উৎপাদনের প্রত্যাশিত এ হার গত দুই বছরের তুলনায় বেশি।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান গতকাল রোববার এসব তথ্য জানান। জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানায়, মা বা ডিমওয়ালা ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে মেঘনা নদীর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ সময় ইলিশ বিক্রি, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ ও মজুত করাও নিষিদ্ধ করা হয় ওই পরিপত্রে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, মা ইলিশ রক্ষায় এবার মেঘনায় ২৮৫টি অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে ৭০৩ লাখ মিটারের বেশি কারেন্ট জাল এবং পাঁচ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। ৬৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ২৫৪ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গকারী জেলেদের বিরুদ্ধে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে মামলা হয়েছে ১৭২টি।
আনিসুর রহমান বলেন, সাধারণত প্রজননের সময় মা ইলিশ ঝাঁকে ঝাঁকে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি থেকে মেঘনার মিঠা পানিতে চলে আসে। এরপর নির্ধারিত সময়ে, অর্থাৎ, প্রতিবছর অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় তারা ডিম ছেড়ে পুনরায় সমুদ্র বা সমুদ্রের মোহনায় চলে যায়। কয়েক বছর আগে ইলিশের প্রজননের নির্ধারিত সময় ছিল ১০-১১ দিন। ওই সময় বাড়িয়ে এখন ২২ দিন করা হয়েছে।।