দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাংকের উপস্থিতি কম। আবার নিম্ন আয়ের পেশাজীবীদের বড় অংশই ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা (এমএফআই) বা স্থানীয় উৎস থেকে ঋণ নিয়ে চলে। তাই করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতির মুখে পড়া এই শ্রেণিকে লক্ষ্য রেখে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোর (এমএফআই) মাধ্যমে কম সুদে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এই ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে সব ব্যাংক আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে ৩ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই তহবিল থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়, আর ব্যাংকগুলো ৩ শতাংশ সুদে ঋণ দেয় এমএফআইগুলোকে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এমএফআইগুলো ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়। আগে এমএফআইগুলোর বিতরণ করা ঋণের সুদহার ছিল সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ। এই প্যাকেজ থেকে একটি এমএফআই তিনটি ব্যাংক থেকে দেড় শ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে।