লিবিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে দেশটির বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। লিবিয়ায় এক দশক ধরে চলা সংঘাত ও অশান্তি নিরসনে জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় এ আলোচনার সূত্রপাত বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘ সময়ের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে ক্রমাগত সহিংসতা চলছে।
দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্টেফানি উইলিয়ামস বলেন, উত্তর আফ্রিকার তেল রপ্তানিকারক দেশটির সামনে সহিংসতা ও রক্তপাত এড়ানোর জন্য ছয় বছরের মধ্যে সর্বোত্তম সুযোগ এই আলোচনা। তবে তিনি আলোচনায় ইতিবাচক ফল পেতে সব পক্ষকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, আলোচনায় সমাধানে পৌঁছাটা কোনো ফুলেল পথ হবে না এবং এটি খুব সহজও হবে না।২০১৮ সাল থেকে লিবিয়াকে দুটি পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গভর্নমেন্ট ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) এবং পূর্বাঞ্চল শাসন করে জেনারেল খালিফ হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)। দেশটির সংঘাতে লিপ্ত দুই পক্ষকে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীও যার যার স্বার্থ অনুযায়ী মদদ দিচ্ছে। বিদ্রোহী জেনারেল হাফতার মিসর, রাশিয়া ও সৌদি আরবের সমর্থন তার পক্ষে আনতে সমর্থ হয়েছেন। আবার জাতিসংঘ জিএনএ সরকাটিকেই মনে করে দেশটির প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী গোষ্ঠী এবং তুরস্কের সমর্থনও এই জিএনওর পক্ষেই।